১১ জ্যৈষ্ঠ সাম্য ও দ্রোহের কবি, কবি নজরুলের জন্মদিন। ভাষা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল নজরুলের আজ ১২২ তম জন্মদিন। পরাধীন ভারতে অত্যাচার আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন এক অন্যানয প্রতিভু। সম্রাজ্যবাদ,সামন্তবাদ,ও সম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন উচ্চকিত। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর লেখনি ছিল খঞ্জরের ন্যায়।
জাতীয় কবি, কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ, মা জাহেদা খাতুন। দরিদ্র পরিবারে জন্মের পর দুঃখ-দারিদ্র্যই ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। তাঁর ডাকনাম ছিল দুখু মিয়া
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। তাই স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে এসে ধানমন্ডিতে বসবাসের ব্যাবস্থা করেন। ১৯৭৬ সালের ১২ই ভাদ্র নজরুল তৎকালীন পিজি হাসপাতালে মারা যান। কবিকে তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবছর ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও এ বছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে না। তবে দিনটি উপলক্ষে সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী ‘আমিই নজরুল আন্তর্জাতিক নজরুল উৎসব’। নজরুলের সাম্যবাদ নিয়ে এ আয়োজন করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংগঠন ‘মুক্ত আসর’। উৎসবে বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও পর্তুগাল থেকে ৩২ জন নজরুল গবেষক, লেখক ও নজরুল সঙ্গীতশিল্পী অংশগ্রহণ করছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ছাড়াও বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন-রেডিও কবির জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে।