বিশ্বাকাপের পরেই ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। নান্দনিক ও গতিময় ফুটবলের বড় বিজ্ঞাপন এ আসর। কোপা আমেরিকার ফাইনালের উন্মাদনা না কাটতেই ফুটবল প্রেমিদের অপেক্ষা আরেকটি ফাইনালের। আজ রাতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নামছে দীর্ঘদিন ধরে ট্রফি না জেতা ইতালি ও ইংল্যান্ড।
আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় লন্ডনের ওয়েম্বলিতে শুরু হবে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। ল্যাটিন আমেরিকার ছন্দময় ফুটবল দেখার পর এবার ইউরোপের গতিময় লড়াই উপভোগের অপেক্ষা।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে’র শহরে ফাইনাল হলেও টিকিট সংকটে খেলা দেখবেন ঘরে বসেই। তিনিও অপেক্ষায় আছেন তার দেশ অনেক দিন পর শিরোপা জিতবে।
তবে সেটা খুব সহজ হবে না বলেই মনে করছেন বাংলাদেশের কোচ। তার মতে, ইংল্যান্ড ও ইতালির মধ্যকার এই ফাইনাল ম্যাচ হবে সমানে সমান।
‘দুই দলই এই টুর্নামেন্টে ভাল ফুটবল খেলেছে। আমি মনে করি, যোগ্য দুই দলই লড়ছে ফাইনালে। তাই ম্যাচের আগে কোনো দলকে সেভাবে এগিয়ে রাখা যাবে না। দুই দল নিয়ে এতটুকুই বলার আছে, ইংল্যান্ডের চেয়ে ইতালিকে কিঞ্চিত বেশি কষ্ট করে ফাইনালের টিকিট পেতে হয়েছে’- বলেছেন জেমি ডে।
ফাইনালকে ঘিরে এ মুহূর্তে কী অবস্থা লন্ডনে? জেমি ডে বলছিলেন, কেবল লন্ডনেই নয়, পুরো দেশে এখন ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা ‘লন্ডন তো বটেই, দেশের আনাচে-কানাচে ফাইনাল নিয়ে উত্তেজনা। ফাইনালে ওঠা পর্যন্ত দলের পারফরম্যান্সে সবাই খুশি। এখন তারা শেষ ভালো দেখার অপেক্ষায়। ফাইনাল শেষে তারা তারা কাপটি নিজেদের হাতেই দেখতে চান।’
ইংল্যান্ড সিনিয়র দল দীর্ঘদিন সাফল্যের অপেক্ষায় থাকলেও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে কিন্তু তারা ভালো করছে। এই তো ২০১৭ সালের ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন তারা। ভারতে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড ০-২ গোলে পিছিয়ে গিয়েও স্পেনকে হারিয়েছিল ৫-২ ব্যবধানে। ওই দলের কয়েকজন আছেন ইংল্যান্ডের বর্তমান জাতীয় দলে।
এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জেমি বলেছেন, ‘এটাই গুরুত্বপূর্ণ। বয়সভিত্তিক দলের ওপর গুরুত্ব দেয়া এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণেই জাতীয় দলের এই রেজাল্ট। ইংল্যান্ড ভালো কিছু তরুণ খেলোয়াড় তৈরি করতে পেরেছে, যারা এখন জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করছে।’