বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক বলেন, আমার ভোট কেন বর্তমান সরকারের দলীয় গুণ্ডারা দেবে? আমার ভোট কেন প্রশাসনের লোকেরা দিবে? আমার বয়স ২৮ বছর হয়েছে, ইতোমধ্যে অন্তত দুইটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়ার অধিকার ছিল, কিন্তু একবারও ভোট দিতে পারিনি।
তিনি বলেন, এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। দেশে কেউই নিরাপধ না। তাই সবাইকে নিজের অধিকারের দাবি নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত। যেখানে দাবি হবে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে হবে। যার যার জায়গা হতে আমাদের রাজপথে নামতে হবে, এখনই নামতে হবে না। তবে যখন সময় হবে, আন্দোলনের ডাক আসবে তখন রাজপথে নামতে হবে। প্রয়োজনে যদি রক্ত দিতে হয়, তবে তাই হবে। তবুও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।
এছাড়াও দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা নিয়ে বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য পৃথিবীর ইতিহাসে সব্বোর্চ সংখ্যক দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখেছিল। ইদানীং স্কুল-কলেজ খুলে দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ভণ্ডামি শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো বন্ধ করে রেখেছে। কারণ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা প্রতিবেদন দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় খুললে যেকোনো সময় আন্দোলন শুরু হয়ে যেতে পারে। তখন আর সরকারের রক্ষা হবে না।
পাশাপাশি দেশে চলমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও কথা বলেন তিনি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওদের মাঝে ক্ষমতা বিষয়ক যে জটিলতা চলছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানরা বিনা ভোটে নির্বাচিত, অশিক্ষিত ও থার্ড ক্লাস। এদেরকে কেন শিক্ষিত ইউএনওরা মেনে চলতে হবে?
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, গণস্বাস্থ্যের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।