বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবীতে বিএনপির হবিগঞ্জের সমাবেশে দলটির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় এবার ৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জেলা পরিষদ রেস্ট হাউজ ভাংচুরের অভিযোগে কেয়ারটেকার আব্দুর রউফ বাদী হয়ে মঙ্গলবার সদর মডেল থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় বিএনপির সমাবেশে অংশগ্রহণকারী ৪০০ অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ২২ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ শহরে সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। ওইদিন সকাল থেকেই শায়েস্তানগর ও নতুন পৌরসভা কার্যালয় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে তারা জেলা পরিষদের রেস্ট হাউসে অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় তারা দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২২ ডিসেম্বর হবিগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। পরে এ ঘটনায় ৬৫ জনের নাম উল্লেখসহ দুই হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়।
২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদর থানার এসআই নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জিকে গউছকে প্রধান আসামি করা হয়।
এছাড়া ৩০ ডিসেম্বর একই ঘটনায় পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মুরাদ আলী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলীসহ ৫৪ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করে বিএনপি। বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে এ আবেদন করে।
কিন্তু ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশীদ মামলার আবেদনটি খারিজ করে দেন।