লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূকে এ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ননদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে গৃহবধূর বাবা আব্দুল মালেক মামলা করলে পুলিশ রাতেই ননদ আছিয়া বেগমকে (৩৫) গ্রেফতার করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের আব্দুল মালেক মিয়ার মেয়ের সঙ্গে একই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের আতোয়ার হোসেনের ছেলে হামিদুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর পাশাপাশি তার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলছিল ওই গৃহবধূর।
এরই জেরে বুধবার রাত ৯টার দিকে শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে ওই গৃহবধূর শরীরে এ্যাসিড নিক্ষেপ করেন এমন অভিযোগ ওই গৃহবধূর বাবার। এতে ঝলসে যায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, আমার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছে। তারা আমাকে একা পেয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে শরীরে এ্যাসিড দেন। এতে পিঠ পুড়ে যায়। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে।
গৃহবধূর বাবা আব্দুল মালেক বলেন, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েটার ওপর নির্যাতন করতো। এরপর শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে বুদ্ধি করে আমার মেয়ের গায়ে এ্যাসিড নিক্ষেপ করে। আমি তাদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তাসকিন আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অ্যাসিড জাতীয় পদার্থ। অ্যাসিড কী না তা নিশ্চিতের জন্য রোগীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।ৎ
হাতীবান্ধা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম ওই গৃহবধূর ননদকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আহত গৃহবধূর অবস্থা দেখেছি। এ ঘটনায় রাতেই ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই গৃহবধূর ননদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার আছিয়া বেগমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।