ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে রোববার মধ্যে রাত থেকে ভারি বৃষ্টি সাথে হালকা দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এতে ঊপকূলের ১৪ জেলায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া, চম্পাপুর ও ধানখালী ইউনিয়নের প্রায় আট-দশটি গ্রাম। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে প্রাথমিকভাবে দিক পরিবর্তন করে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে দেশব্যাপী মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলার কারণে সব ট্রলার ও নৌকা নিরাপদে রয়েছে এবং কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদেরকেও নিরাপদে থেকে ভ্রমণের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, উপকূলীয় চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা পরবর্তীতে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। রোববার মধ্য রাত থেকে ৭৯.৫ মিলিমিটারে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।