1. admin@prottashanewsbd24.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ অপরাহ্ন

বরগুনায় আ’লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষঃ সাংবাদিক সহ আহত ৫০

প্রত্যাশা নিউজ ডেস্ক
  • সময় : রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২
সংবাদটি শেয়ার করুন:

বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রোববার দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে এ ঘটনার পর সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকেলে এক পক্ষকে নিয়ে অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

বেলা ১১টায় পূর্বনির্ধারিত আমতলী পৌরসভা ভবনের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আনিসুর রহমান ও গোলাম রাব্বানি চিনু। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবিরসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা চলাকালে দুপুর ১টার দিকে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান খান বাদল। তিনি উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং প্রয়াত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম দেলোয়ারের ছেলে জি এম হাসান ও তাঁর সমর্থিতরা প্রতিবাদ জানান। এ সময় হাসান গ্রুপের আমতলীর সাবেক পৌর মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু বাদল খানের বিরুদ্ধে কিছু তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য মঞ্চের সামনে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে যান। পরে এ নিয়ে বাদল সমর্থিত আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে হাসান ও নান্নুর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় হাসান ও তাঁর ছোট ভাই আমতলী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম মুসাসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।

এ সময় সাংবাদিকরা ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে থাকলে আক্তারুজ্জামান খান বাদল সাংবাদিকদের মঞ্চ থেকে জোর করে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানালে বাদল ও তাঁর সমর্থকরা সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালান। এ সময় দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি শাহ আলী, যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন এস এম সিফাতসহ অন্তত ৭-৮ জন সংবাদকর্মী আহত হন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় সাংবাদিকদের ব্যবহূত মোবাইল ও ক্যামেরা। পরে সমাবেশ বয়কট করে চলে যান সাংবাদিকরা। এর পর সমাবেশে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চ থেকে চলে গেলে সম্মেলনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এর দুই ঘণ্টা পর বর্তমান মেয়র মতিয়ার রহমানের সমর্থকদের নিয়ে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়।

আহতদের মধ্যে জি এম মুসা, মো. রুবেল ও এ বি এম সোহেলকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেপে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া জি এম হাসান, তাজুল ইসলাম তিঠু, দুলাল পাহলান, ময়জদ্দিন, রাকিবুল ইসলাম, মধু মোল্লা, শাহীন, জসিম হাওলাদার, বায়জিদ, মাহবুব আলম ও আলী হোসেন আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

অন্যদিকে সাংবাদিকদের মধ্যে আমতলী প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের আমতলী প্রতিনিধি শাহাব উদ্দীন পান্না, দীপ্ত টেলিভিশনের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি শাহ আলী, যমুনা টেলিভিশনের বরগুনার ক্যামেরাপারসন এস এম সিফাতসহ অন্তত ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। আহতরা আমতলী ও বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জি এম হাসান বলেন, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র মতিয়ার রহমানের নির্দেশে তাঁর সন্ত্রাসীরা কেন্দ্রীয় এবং জেলা নেতৃবৃন্দের সামনে আমাদের ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমতলীতে বর্তমানে বিএনপি-জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশকারীরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে আমতলী পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, আমতলী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান নান্নু এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি সুন্দর সমাবেশকে উস্কানি দিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষ তৈরি করেছেন।


সংবাদটি শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও সংবাদ

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব  সংরক্ষিত © প্রত্যাশা নিউজ বিডি ২৪ © ২০২১
Theme Customized BY Theme Park BD