বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আজ। সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরইমধ্যে সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে দলটি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে সাজসাজ রব। সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরা হবে। এ বিষয়টি সামনে রেখে সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সমাবেশস্থল পৃথকভাবে পরিদর্শক করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
এছাড়া সম্মেলন কেন্দ্র করে যান চলাচল ও গাড়ি পার্কিং বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। ওই নির্দেশনা মেনে আজ রাজধানীতে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সম্মেলন ঘিরে তৈরি করা হয়েছে ‘পদ্মা সেতুর ওপরে নৌকার’ আদলে মঞ্চ। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলন উদ্বোধনের পর জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এরপর কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আসার পর আধঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।
শোক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য দেবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে। এ সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
প্রথম অধিবেশন শেষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এ অধিবেশনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।