খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক সুরঞ্জন সুভাবের বিরুদ্ধে জমিজমা সংক্রান্ত মিথ্যা মামলা ও কুরুচি পূর্ণ সংবাদ প্রকাশের প্রতীবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সুরঞ্জন বলেন, এই ইতিমা মন্ডল নামের একটি মেয়ে যে নিজেকে ঢাকায় মিডিয়া জগতে সে একজন মডেল তারকা হিসাবে নিজেকে দাবি করেন। সে আমার প্রতিবেশী, সে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় আমার নামে খুব বাজে মন্তব্য করছে। এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে আমার নামে দুটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে যা আদালতে চলমান রয়েছে।
সুরঞ্জন সুতার দাবি করেন, ইতিমা মন্ডল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ করছে সে নাকি তার বাবাকে ও তার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে তাদেরকে ভিটা ছাড়া করছে। এই মন্তব্য গুলি কতটুকু সত্য এটা দেখার দায়িত্ব সংবাদকর্মী এবং প্রশাসনের নিকট ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন করেন সভাকারের দোষী কে নির্ণয় করে দোষী ব্যক্তি কে সাজা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে
তিনি আরো বলেন, গত ২৬-১-২৩ ইংরেজি তারিখে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত এবিসি নিউজ ডটকম ডট বিডি ও ডেইলি ঢাকার কন্ঠ ডট কম নামের দুটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে দুটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত প্রকাশিত সংবাদ দুটিতে আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন করা হয়। ওই সংবাদে আমাকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, কুখ্যাত ভূমিদস্যু বলা হয়। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া ও ভিত্তিহীন। আমি ওই প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সুরঞ্জন সুতার বলেন, মূলত আমি একজন ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক। আমি প্রগতি বিদ্যাপীঠ স্কুল এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি । বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বটিয়াঘাটা উপজেলার জয়েন্ট সেক্রেটারি। বিদ্যাবাড়ী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও শৈল রংপুর যুক্তরঘোটা অঞ্চলে আমি পাঁচটি মন্দির নির্মাণ, বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ এবং চিকিৎসালয় নির্মাণ কাজ করেছি
আমার নিজ অর্থায়নে। এছাড়াও আমার উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পানির সংকট দেখা দেওয়ায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষাদিক অর্থায়নে ১৭টি গভীর নলকূপ স্থাপন করেনি। বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় উন্নয়নের কাজে অর্থ প্রদান,গরিব দরিদ্র অসহায় মানুষের মেয়ের বিবাহে অর্থদান, শীতকালীন বস্ত্র বিতারনসহ সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে আমি জড়িত।
এই ইতিমা মন্ডলের সাথে বা তার পরিবারের কোন সদস্যের সাথে আমার কোন বিরোধ ছিল না বা এখনো নেই। শুধুমাত্র সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উক্ত সংবাদে আমার নাম জড়ানো হয়েছে এটা কোন ভাবেই সত্য নয়। এ কারণে আমি সকল সাংবাদিক বন্ধু ও প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাই আপনারা সরেজমিন তদন্ত পূর্বক বিষয়টি খতিয়ে দেখুন। আমি চাই আপনারা সত্যটা লিখুন সত্যকে প্রকাশ করুন।