কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশ আসামি ধরতে গেলে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিন নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৩০ এপ্রিল) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ছিনিয়ে নেওয়া ওই আসামির নাম সাদ্দাম হোসেন (৩০)। আটক নারীরা হলেন সাদ্দামের মা নাদিরা বেগম (৫৩), বোন শাহিদা বেগম (২৫) ও আঁখি বেগম (১৮)।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল রবিউল ও আজাদ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি নারী নির্যাতন মামলায় আসামি সাদ্দাম হোসেনকে দেড় বছর কারাদণ্ড দেন কিশোরগঞ্জ আদালতে। এ মামলায় তিনি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। খবর পেয়ে রোববার গভীর রাতে আসামি সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা তার হাতে হাতকড়া পরাতে গেলে পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন। একপর্যায়ে ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করেন।
এসময় পুলিশ পরিচয় দিলেও তারা আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ চালান। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে পালিয়ে যান সাদ্দাম। পরে তিন নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আসামি সাদ্দামের মা নাদিরা বেগম বলেন, আমার ছেলে বিয়ে করার ছয়মাস পর তার স্ত্রী বাবার বাড়ি গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় মামলা হলে কখন তার সাজা হয়েছে তা আমরা জানি না। হঠাৎ রোববার রাতে তাকে পুলিশ ধরতে গেলে আমরা হতভম্ব হয়ে যায়। আমরা মনে করেছি বাড়িতে ডাকাতের আক্রমণ হয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ আলম বলেন, তারা ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে ঘুম থেকে জেগে তোলেন। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় পুলিশ প্রাণ রক্ষা করে। এ ঘটনায় তিন নারীকে আটক করা হয়েছে।