বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচ শুরুর আগে মারাকানা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে হওয়া নজিরবিহীন সংঘর্ষের তদন্ত শুরু করেছে ফিফা। এর ফলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে চলছে মেসি এবং নেইমারের দুই দেশই।
মারাকানায় সংঘর্ষের ঘটনায় ফিফার তদন্তে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে দুই দেশকেই। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের বিপক্ষে অভিযোগ হলো- তাদের দেশের সমর্থকদের উৎপীড়ন। গ্যালারিতে গিয়ে প্রথমে সংঘর্ষ ঘটানোর কর্মকাণ্ড করেছে আর্জেন্টিনার সমর্থকরাই। একই সঙ্গে ম্যাচ ৩০ মিনিট বিলম্বে শুরু করার সম্পূর্ণ দায় দায় চাপানো হয়েছে আর্জেন্টিনার ওপর।
ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের বিপক্ষে ফিফার অভিযোগ হলো, ‘স্বাগতিক বা আয়োজক হিসেবে যথেষ্ট নিরাপত্তমূলক ব্যবস্থা নিতে না পারার ব্যর্থতা।
রিও ডি জেনিরোয় গত বুধবার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দু’দেশের ফুটবলারদের সারি বেধে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় গ্যালারির একাংশে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ব্রাজিল সমর্থকরা।
দুই দেশের পতাকার প্রতি একে অপরে নিন্দাসূচক মন্তব্য করছিলো। যে কারণে সংঘর্ষ, চেয়ার ছোড়াঁছুড়ি শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রায়ট পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে। তারা মূলত লাঠি চার্জ করে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের ওপর। প্রতিবাদে লিওনেল মেসিরা এগিয়ে যায়। এমিলিয়ানো মার্টিনেজদের কেই কেউ নিজেরও সংঘর্ষে জড়ান। পরে মেসিরা মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। শেষ পর্যন্ত খেলা শুরু হয় ৩০ মিনিট পর। এরপর নিকোলাস ওতামেন্দির গোলে ১-০ গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা।
জয়ের পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ মেসি লেখেন, ‘মারাকানায় দারুণ জয় পেলাম। কিন্তু ব্রাজিলের মাটিতে আরও একবার আর্জেন্টিনার সমর্থকদের নিগ্রহের ঘটনার জন্য এই ম্যাচটা আরও বেশি করে মনে থাকবে।’
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘ফুটবলে মাঠের ভেতরে ও বাইরে হিংসাত্মক ঘটনার কোনও জায়গা নেই।’ এরপরই বিশ্বফুটবলের নিয়ন্ত্রত সংস্থা ডিসিপ্লিনারি কমিটি ঘটনার তদন্ত শুরু করে।