কারাগারে গত ১৭ বছর ধরে বন্দি বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর গুরুতর অসুস্থ। মারাত্মক শ্বাসকষ্ট, জটিল কিডনী সমস্যা, মেরুদণ্ডে ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তিনি।
এই প্রেক্ষিতে তার চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্বিবিদ্যালয়ের প্রফেসর ডা. শামীম আহমদের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তারা হলেন- ডা.সৈয়দ ফজলুল ইসলাম, ডা.মো.জাহিদুর রহমান ও ডা.খালিদ মাহমুদ মোরশেদ। সার্বিক সমন্বয় করবেন শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্বিবদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ডা.দেলোয়ার হোসেন।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, এই মেডিকেল বোর্ড লুৎফুজ্জামান বাবরকে চিকিৎসার জন্য আগামীকাল শনিবার সকাল ১১ টায় কেরানীগঞ্জ কারাগারে যাবেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কারারুদ্ধ থাকার ফলে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না দেওয়ায় সাবেক এই সফল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ডজন খানেক রোগে ভূগছেন। তারমধ্যে অন্যতম রোগগুলো হলো- ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা, গ্যাস্ট্রিওসোপাজিল রিফ্লাক্স ডিজিজেজ (জিইডি), ইরিটেবল বাউল সিনড্রোম (আইবিএস), হাইপারটেনশন (এইচপিটি), স্পন্ডিওলাইসিস, পলিপ, আর্থাইটিস ও অস্ট্রিওপ্রোসিস। তার কিডনি বিনস্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তিনি বহু ওষুধ খাচ্ছেন।
এর আগে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনকালে অনেকবার গুরুতর অসুস্থ হলেও উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করা হয়নি। দায়সারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। ফলে রোগের মাত্রা বেড়েছে। লুৎফুজ্জামান বাবরের স্বজনরা জানান, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশসহ কয়েকটি মিথ্যা-সাজানো মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে তাকে। তার মুক্তির দাবিতে নিয়মিত মিছিল সমাবেশ হচ্ছে। শেখ হাসিনার পতনের পর মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক অধিকাংশ নেতা মুক্তি পেলেও বাবরকে এখনো জেলে আটকে রাখা হয়েছে।