দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আগে ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রণীত ৩১ দফাকে আরও গুরুত্ব দিয়ে সামনে আনছে বিএনপি। বিগত কিছুদিন এই ৩১ দফাকে লিফটেল আকারে বিলির পাশাপাশি ভার্চুয়ালি ভিডিও কনটেন্ট আকারে প্রচার চালিয়ে আসছে। এবার তা নিয়ে বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সেমিনার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
বিএনপি সূত্র বলছেন, আগামী ২৩ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে এই সেমিনারটি আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন বাইরে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করা রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া সেমিনারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ বিশিষ্টজনরা অংশগ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘৩১ দফা নিয়ে সেমিনার করার কথা শুনেছি। তবে এখনও সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি।’ ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা ঘোষণা করে বিএনপি। পরে যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ২৭ দফাকে কিছুটা সংযোগ-বিয়োজন করে গত বছরের ১৩ জুলাই ‘সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ‘রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা’ ঘোষণা করে বিএনপি।
গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শক্তিগুলোর প্রতি বিএনপির প্রতিশ্রুতি ছিল এই ৩১ দফা। এর আগে, ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে খালেদা জিয়া ‘ভিশন-২০৩০’ উপস্থাপন করেন। খালেদা জিয়ার ঘোষিত ভিশন ২০৩০ এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ঘোষিত ১৯ দফার সঙ্গে সমন্বয় রেখেই বিএনপির এই ৩১ দফা। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে খালেদা জিয়া জানান, ক্ষমতায় এলে তার দল জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা নিরসনকল্পে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। রাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক ক্ষমতা দূর করতে সংসদে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বিএনপি।’ বিএনপির বর্তমান রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফায় এই সংস্কারগুলোর কথা উল্লেখযোগ্য রয়েছে।