1. admin@prottashanewsbd24.com : admin :
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা/পাটের বস্তার গুদামে আগুন। কেয়ামতের দিন কারা থাকবেন রাসুল (সঃ) এর কাছাকাছি। জুলাই বিপ্লবের ১০০তম দিন: কর্মসূচি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সাবেক এমপি মুকুল কারাগারে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিতঃ প্রধান উপদেষ্টা। ভুল চিকিৎসায় এক নারীর মৃত্যু, পালালেন স্টাফ -নার্সঃ গাজীপুর। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ইকুয়েডরের তারকা ফুটবলার ‘মার্কো আনগুলো’। পুষ্পা-২ আইটেম গানের পারিশ্রমিক কত? “স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমুলক ভাবে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে” : প্রধান বিচারপতি। “বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবরের ছবি সরানো উচিত হয়নি ” এমন বক্তব্যের সংশোধনি দিয়েছেন রিজভী।

কেয়ামতের দিন কারা থাকবেন রাসুল (সঃ) এর কাছাকাছি।

প্রত্যাশা নিউজ ডেস্ক
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪
Oplus_131072
সংবাদটি শেয়ার করুন:

প্রত্যেক মুমিনের একান্ত কামনা রাসূলের সঙ্গ লাভে ধন্য হওয়া। পৃথিবীতে এ সৌভাগ্য হয়েছিল একমাত্র সাহাবায়ে কেরামের। পরবর্তী উম্মতের জন্য আল্লাহর রাসুল রেখে গেছেন কোরআন ও সুন্নাহ। তবে অনাগত উম্মতের জন্য তার হৃদয়ে ছিল অকৃত্রিম ভালোবাসা।

উম্মতের মধ্যে যারা আল্লাহর রাসুলকে না দেখেই ভালোবাসবে এবং তার আদেশ নিষেধ মেনে চলবে তাদের সম্পর্কে নবীজির ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে এক হাদিসে হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার ভাইদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছা করছে। সাহাবিরা বললেন, আমরা কি আপনার ভাই নই? রাসূল (সা.) বললেন, তোমরা তো আমার সাহাবি তথা সঙ্গি। আমার ভাই হলো, যারা আমার ওপর ঈমান আনবে, কিন্তু আমাকে দেখবে না।’-(মুসনাদে আহমাদ: ১২৭১৮)।

রাসুলকে না দেখেও তার বর্ণিত কিছু কিছু কথার ওপর আমল করলে উম্মতে মুহাম্মদী কেয়ামতের দিন আল্লাহর রাসূলের কাছাকাছি থাকার সৌভাগ্য লাভ করবে। এমন একটি বিষয় হলো উত্তম চরিত্র।

এ সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা: বলেন-
একবার রাসুল সা: বললেন, আমি কি তোমাদের ওই ব্যক্তি সম্পর্কে অবগত করব না যে কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে? সাহাবায়ে কিরাম চুপ রইলেন। রাসুল সা: একই প্রশ্ন করলেন দুই বা তিনবার। তখন তাঁরা বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, সে হলো ওই ব্যক্তি, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৭৩৫)।

আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন আমল জান্নাতে প্রবেশের জন্য বেশি সহায়ক হবে? মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ভয় ও উত্তম চরিত্র। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২০০৪)।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত আরেকটি রেওয়াতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগতভাবে বা ইচ্ছাপূর্বক অশ্লীল ভাষী ছিলেন না। তিনি বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়, যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।’ –(সহিহ বোখারি : ৩৭৫৯)।

কেয়ামতের দিন মানুষের সওয়াব ও গুনাহ পরিমাপের জন্য মিজানে ওজন করা হবে। সেদিন যে আমলের ওজন সবচেয়ে বেশি ভারী হবে তা হলো- উত্তম চরিত্র।

এ সম্পর্কে হজরত আবু দারদা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন মুমিনের দাঁড়িপাল্লায় উত্তম চরিত্রের চেয়ে বেশি ওজনের আর কোন জিনিস হবে না। কেননা, আল্লাহতায়ালা অশ্লীল ও কটুভাষীকে ঘৃণা করেন।’ -(সুনানে তিরমিজি : ২০০২)।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তিনি কখনও কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি। চরিত্রবান মানুষদেরকে তিনি ভালোবাসতেন। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় মানুষদের কাতারে শামিল হতে চাইলে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া আবশ্যক।


সংবাদটি শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও সংবাদ

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব  সংরক্ষিত © প্রত্যাশা নিউজ বিডি ২৪ © ২০২১
Theme Customized BY Theme Park BD