ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। ২০২৪-২৫ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি সাত কলেজের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে প্রতিরোধের ঘোষণা আসবে বলেও জানান তারা।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবির আরবি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্বাসউদ্দীন বলেন, “২০১৯ সালে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলন শুরু হয়, যেখানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং নাহিদ ইসলাম বিশেষভাবে জড়িত ছিলেন। এমনকি তারা ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। সম্প্রতি একটি মিটিংয়ে আসিফ মাহমুদের উপস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, সাত কলেজের জন্য আলাদা ভবন নির্মাণ করা হবে। বিষয়টি আসিফ নজরুল স্যারও পুনরাবৃত্তি করেছেন।”
আব্বাসউদ্দীন বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশাসন যথাযথ সুযোগ-সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ সাত কলেজের প্রায় ২,৬৭,০০০ হাজার শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিয়েছে। ফলে আমরা প্রতিনিয়ত নানা সমস্যার কবলে পড়ছি। তাই আমরা ঢাবি থেকে সাত কলেজের অধিভুক্ত বাতিল চাই।”
ঢাবির অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ছাত্র নাফিউর রহমান বলেন, “সাত কলেজের জন্য ঢাবি শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। ঢাবি শিক্ষকরা তাদের সময় সাত কলেজের জন্য ব্যয় করেন। এতে আমাদের শিক্ষার মানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ঢাবির শিক্ষার্থীদের জন্য সিট সংকট, নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত এবং ফলাফল প্রকাশে বিলম্বের মতো সমস্যাগুলো আরও প্রকট হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটা একটি অশনি সংকেত। কেননা, আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে সাত কলেজকেও বিবেচনা করা হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানকে প্রভাবিত করছে।”
এছাড়াও ছাত্ররা জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে সাত কলেজের শিক্ষার্থী ঢাবির অধিভুক্তিতে ভর্তি করালে তা কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিরোধ করা হবে। সাত কলেজের জন্য কোনো নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।