আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির ভয়ংকর এক বিষবাষ্প দিয়ে গোটা দেশটাকে গ্রাস করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশের মানুষ এখন অসহনীয় দুর্দশার মধ্যে বসবাস করছে বলে তিনি জানান। ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের পর বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের হয়রানি করে নিজেদের অবৈধ শাসনকে টিকিয়ে রাখার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
শনিবার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নয়ন ও তার ভাই সাখাওয়াত হোসেন শাহীনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব এই বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান গণবিরোধী সরকারের অনৈতিক শাসনকে পাকাপোক্ত করতেই দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মী, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, ব্লগারসহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের ধারাবাহিকতায় এবার কুমিল্লার নেতাদের বিরুদ্ধে এ আইনে লাঙ্গলকোট পৌর মেয়র নিজে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে- বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রটির একচ্ছত্র মালিক কেবলমাত্র তারাই। তাই দেশ শাসন ও এদেশে রাজনীতি করার অধিকার কেবল তাদেরই রয়েছে, অন্য কারো নেই। এ ধরণের বোধ ও চিন্তা থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার এখন হিংস্রতার শেষ সীমানায়। ফ্যাসিবাদী সরকারের হিংস্র ছোবল দেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত করছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ফ্যাসিবাদী অনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি, দুরাচারের বিরুদ্ধে কথা বললেই যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নিবর্তনমূলক আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকার সবকিছুকে দমন ও নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, গ্রাস করতে চায়।