রাজধানীর নিকেতন এলাকায় গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গৃহকর্ত্রী সামিনা হাসান ও গৃহকর্তা জসীমুল হাসান দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
রোববার (০৫ ডিসেম্বর) ওই দম্পতিকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালত আসামি সৈয়দ জসীমুল হকের এবং ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালত আসামি সামিনা হাসানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে গৃহকর্মী পারভীনকে মারধর করেন গৃহকর্ত্রী সামিনা হাসান। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় স্বামী-স্ত্রী পরামর্শ করে চালক রমজান আলীর (৪১) সহায়তায় প্রাইভেটকারে করে দিয়াবাড়ি ঝাউবন এলাকায় পারভীনের মরদেহ ফেলেন আসেন।
এ ঘটনায় গত ৪ ডিসেম্বর তুরাগ থানায় নিকেতনের ওই বাসার গৃহকর্তা জসীমুল হাসান ও ও গৃহকর্ত্রী সৈয়দা সামিনা হাসানসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন মোমিনুল ইসলাম। মামলাটি তদন্তের ভার পায় পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর)। পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ তরিকুল ইসলামকে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়। তদন্তের মাধ্যমে জসীমুল হাসান ও সৈয়দা সামিনা হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মামলার আলামত হিসেবে মরদেহ ফেলে আসার কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি লাঠি ও বিছানার চাদর জব্দ করা হয়েছে।