পিএসজি ও ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা নেইমারের কর ফাঁকির মামলার বিচার শুরু হয়েছে। সোমবার বার্সেলোনার আদালতে তিনিসহ ৮ জনের শুনানি শুরু হয়। ২০১৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় দলবদলের সময় কর ফাঁকি ও দূর্নীতির দায়ে তাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়।
সোমবার সকালেই একটি প্রাইভেট ফ্লাইটে করে প্যারিস থেকে স্পেনে আসেন নেইমার। যদিও অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়ে কোনো বাধ্য-বাধকতা ছিল না। আদালতে হাজির হওয়ার পর ২ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন তিনি এবং এরপর সেখান থেকে ছুটি নিয়ে বের হয়ে যান। শুক্রবার তার পুনরায় সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে।
শুধু নেইমারই নন, তার সঙ্গে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে তার বাবা-মা ও দুই ক্লাবের (বার্সা-সান্তোস) প্রতিনিধি, বার্সার তৎকালীন দুই সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যু এবং সান্দ্রো রোসেল, সান্তোসের তখনকার সভাপতি ওদিলিও রদ্রিগেজকেও।
সকাল ১০টায় বিচার কাজ শুরু হওয়ার পূর্বে নেইমার, তার পিতাকে কোর্ট প্রাঙ্গণে সান্দ্রো রোসেলের সাথে কথা বলতে ও হাসিঠাট্টা করতে দেখা যায়। তারা কালো স্যুট পরে কোর্টে হাজির হন। কোর্টের বেঞ্চে বসা নেইমারকে মাঝে মাঝে চিন্তিত হয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকতেও দেখা যায়।
মামলাকারী ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি ডিআইএসের মূল অভিযোগ হলো, নেইমার যখন সান্তোসে ছিলেন তখন তার স্বত্বের ৪০ শতাংশের মালিক তারা। কিন্তু বার্সেলোনায় আসার সময় নেইমারের স্বত্বের মালিকানার সেই ৪০ ভাগের সঠিক অর্থ পায়নি ডিআইএস। কারণ, নেইমারের ট্রান্সফারের সঠিক অর্থমূল্য কখনোই প্রকাশ করা হয়নি।
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের মূল সদস্য নেইমার। বিশ্বকাপের আগে এই ট্রায়াল এবং তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। যদিও ২০১৭ সালে একবার তার আবেদন খারিজ করেন স্প্যানিশ হাইকোর্ট। এরপরই এই অভিযোগ সম্পর্কে ট্রায়াল আয়োজনের কথা ঘোষণা করেন আদালত।
নেইমারের আইনজীবী বেকার ম্যাকেঞ্জি রয়টার্সকে জানান, তারা স্প্যানিশ আদালতের কাছে আবেদন জানাবেন, নেইমারের পরিবারের প্রতি পরিচালিত এই মামলায় যথেষ্ট প্রমাণাদির অভাব রয়েছে।
আর স্পেনের সরকার পক্ষের আইনজীবিরা চাচ্ছে, নেইমারের দুই বছরের জেল এবং সঙ্গে ১০ মিলিয়ন ইউরোর আর্থিক জরিমানা। সে সঙ্গে বার্সার সাবেক সভাপতি সান্দ্রো রোসেলের ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১৪৯ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা।