নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মিছিলে এক প্রবাসী নেতাকে ধাক্কা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীদের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বসুরহাট বাজারে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনার পর র্যালি শেষে উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, র্যালিতে সামনে থাকা নিয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা ও উপজেলা বিএনপির সদস্য আমোরিকা প্রবাসী মো. কামাল উদ্দিনকে ধাক্কা দেন বিএনপি নেতা নুরুল আলম সিকাদর। এ সময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে র্যালি শেষে উপজেলা চত্বরে এ নিয়ে সিকদার তেড়ে আসতে চাইলে কামালের লোকজন তার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেন।
দলীয় সূত্র জানায়, এ নিয়ে সোমবার রাতে বসুরহাটের একটি কার্যালয়ে সমঝোতা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। বরং সেখানে দুই পক্ষের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বসুরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন বলেন, বিষয়টি সমাধানে একবার বৈঠকে বসেছি। আমরা এ নিয়ে পুনরায় বসে আলোচনা করবো।
এ ঘটনার পর সিকদার গ্রুপ ও কামাল গ্রুপ আলাদা আলাদা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। দলের কর্মীদের মাঝেও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে উপজেলা বিএনপির সদস্য আমেরিকা প্রবাসী কামাল উদ্দিন নিজেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, কোনো চাঁদাবাজ লুটতরাজকারী বিএনপির মতো দলের নেতা হতে পারে না। আমি আগামী কাউন্সিলে সভাপতি পদ প্রার্থী।
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার বলেন, উড়ে এসে জুড়ে বসা কিছু ব্যক্তি দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তাদের ব্যাপারে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজি মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ঘটনার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে।
কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাটে বিএনপির সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সহপল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। এখনতো আওয়ামী লীগ নেই, নিজেরা নিজেরা মারামারি করে দলের ক্ষতি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা চলছে।