বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
অধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে ভোলার চরফ্যাসনে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন ও বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ আইচা থানাধীন সদর আইচা বাজারে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে এলাকাবাসী আহত ব্যক্তিদের দক্ষিণ আইচা গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল ও চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি থমথমে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়নের অনুসারী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সিরাজুল ইসলাম সবুজ খানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাতে একটি প্রতিবাদ সভা হয়। পরে তারা মিছিল বের করেন। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের অনুসারী কিছু নেতাকর্মী পাল্টা মিছিল বের করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে গড়ায়। সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সবুজ খানের ভাষ্য, নাজিম উদ্দিন আলমের অনুসারীরা আগের বুধবার দক্ষিণ আইচা বাজারে ঢালচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মাতাব্বর ও চরমানিকা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও শ্রমিক দলের সহসভাপতিকে মারধর করেন। কিন্তু নুরুল ইসলাম নয়নের অনুসারী বিএনপি নেতা রেজাউল করিম খন্দকারসহ কোনো নেতাই তাদের পাশে দাঁড়াননি। এসবের প্রতিবাদে তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্মসূচি ডাকেন। নাজিম উদ্দিন আলমের অনুসারীরা পাল্টা মিছিল বের করে তাদের মিছিলে হামলা করে। এতে এ পক্ষের ৩২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে তারা মামলা করবেন।
নাজিম উদ্দিন আলমের অনুসারী দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মাস্টারের ভাষ্য, ‘কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম নয়নকে আমরা কখনও চরফ্যাসনের রাজনীতিতে দেখিনি। তাঁর অনুসারীরা রাতের আঁধারে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন নিয়ে পুলিশের সামনেই লাঠি মিছিল করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এতে প্রায় ১৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম খন্দকার। দক্ষিণ আইচা থানার ওসি এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, থানার অনুমতি ছাড়াই দু’পক্ষ মিছিল বের করেছিল। এতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেছে।
