বাংলাদেশের চলমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোর আরও গভীরে অনুসন্ধান করলে বেশ ভালো পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, দেশের বর্তমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মজুদ ধীরে ধীরে কমছে। শুধু এলএনজি দিয়ে এই ঘাটতি পূরণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোর গভীরে হাইপ্রেসার (উচ্চচাপ) জোনে অনুসন্ধান চালাতে হবে। গ্যাস পাওয়া গেলে ঘাটতি মেটাতে বড় ভূমিকা রাখবে। শনিবার এক ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, দেশের অনেক আবিস্কৃত গ্যাসক্ষেত্রে আমরা হাইপ্রেসার জোন পেয়েছি। প্রেসারের কারণে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। এখন এসব হাইপ্রেসার জোনে কী পরিমাণ গ্যাস আছে, তা প্রমাণিত নয়। তাই অনুসন্ধানের আগে এ সম্পর্কিত তথ্যের ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে।
ওয়েবিনারে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেন, এখনও দেশে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে- এটা অনেক আশার কথা। তবে কী পরিমাণ পাওয়া যাবে সেটা এখন বলা যাবে না। এদিকে, ক্রমান্বয়ে গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উৎপাদন কমছে। হঠাৎ করে ৩০০-৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কমে যেতে পারে। আর হুট করে কমে গেলে সেটা মেটানো খুব কঠিন হবে। শুধু এলএনজি আমদানি করে এই ঘাটতি পূরণ করা যাবে না।
তিনি বলেন, বাপেক্স যদি সরকারি নির্দেশনায় বসে থাকে, তাহলে চলবে না। অনেক সময় তাৎক্ষণিকভাবে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যা বাপেক্স নিতে পারছে না। তিনি বলেন, হাইপ্রেসার জোনে কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ; কিন্তু অসম্ভব নয়।
এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ ফারুক। আরও বক্তব্য রাখেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সালেক সুফি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।